মহিলাদের কি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি, কোন বয়সের পর সাবধান থাকতে হবে বৈকি?

হার্ট অ্যাটাক কিন্তু বাড়ছে। প্রচুর মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত। প্রতিবছর সারা বিশ্বে কয়েক লাখ মানুষ হার্ট অ্যাটাকের কারণে অকালে প্রাণ হারান। ফলে এই নিয়ে রিসার্চও হয় প্রচুর। সম্প্রতি সেরকমই এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া একটা নির্দিষ্ট বয়সের কথাও সামনে এসেছে। যার পর হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি হয়।

ছবি: Pixabay
ছবি: Pixabay
হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন হল হৃৎপিণ্ডের পেশিতে হঠাৎ করে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া। এটি হৃদরোগের একটি মারাত্মক অবস্থা। যার পরিণামে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আসলে হৃৎপিণ্ডের সঠিক কার্যকারিতার জন্য এর নিয়মিত রক্ত এবং অক্সিজেন প্রয়োজন। আর ধমনীর মাধ্যমে হার্ট এই গুরুত্বপূর্ণ রক্ত এবং অক্সিজেন পায়।

তবে হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন হলে ওই রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহকারী ধমনীই ব্লক হয়ে যায়। তবে আরও চিন্তার বিষয় হল এই যে, দিন দিন হার্ট অ্যাটাক বাড়ছে। প্রতিবছর সারা বিশ্বে কয়েক লাখ মানুষ হার্ট অ্যাটাকের কারণে অকালে প্রাণ হারান। ফলে এই নিয়ে রিসার্চও হয় প্রচুর। সম্প্রতি এরকমই একটি রিসার্চে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য সামনে উঠে এসেছে।

ওই গবেষণায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আর তার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ ছিল মহিলা। মোট ১১ বছর রিসার্চ চালানো হয়। আর তার থেকেই জানা যায় যে, পুরুষদের থেকে মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি হয়। তবে এই ফলাফলের সঠিক কারণ জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন। তবে কোনও জন্য বিশেষজ্ঞরা এর জন্য মেনোপজকে দায়ী বলে মনে করছেন। আর মেনোপজ হওয়ার পর মূলত ৫৫ বছর বয়স থেকে মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সর্বাধিক হয়।

হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচবেন কী ভাবে?


হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে হলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, যেমন - নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক ডায়েট, ধূমপান ত্যাগ ও মানসিক চাপ কমানো খুবই জরুরি। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। অতিরিক্ত মদ্যপান করার অভ্যাস থাকলে তা অবিলম্বে ছাড়ুন। মানসিক চাপ কমানোর জন্য যোগা বা ধ্যান করতে পারেন। এছাড়াও, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ডাক্তারের পরামর্শও প্রয়োজন। তাছাড়া অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা কমাতে চেষ্টা করুন, কারণ অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

বিঃদ্রঃ এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও তথ্যের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। Indiatimes Bangla এই প্রবন্ধের সত্যতা এবং কার্যকারিতার দাবি করে না।
আস্তিক ঘোষ

আস্তিক ঘোষআস্তিক ঘোষ গত ২ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। কলকাতার একটি প্রথম শ্রেণির নিউজ পোর্টালে কাজের শুরু। সেই সময় থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন লিখে আসছেন। তার লেখার জগতে প্রবেশ মূলত ব্যবসার খবর দিয়ে। পাশাপাশি তিনি স্বাস্থ্য, পেরেন্টিং, প্রেগন্যান্সি এবং রূপচর্চা নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে লিখছেন। এছাড়াও সময় পেলে ভ্রমণ এবং বিনোদনের নানা বিষয় নিয়েও লেখার চেষ্টা করেন। সহজ সরল ভাষায় লিখতে পছন্দ করেন আস্তিক। কঠিন বিষয়ও তিনি সহজ ভাবে লিখে ফেলতে পারেন। কাজ ছাড়া আস্তিক ইতিহাস নিয়ে বিশেষ উৎসাহী। মধ্য যুগের ইতিহাস নিয়ে দীর্ঘদিন পড়াশুনো করে আসছেন। ব্যস্ত কর্মজীবনে অবসর সময়ের প্রিয় বন্ধু বই। এছাড়া অ্যানিমে, মাঙ্গা ও কম্পিউটার গেমস নিয়ে সময় কাটান আস্তিক। তিনি পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গেও সময় কাটাতে ভালোবাসেন।... আরও পড়ুন

ক্যাটেগরি থেকে আরও