সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রায়ই বেশ কিছু অভিনব প্রেমের সম্পর্কের কথা জানা যায়। সেখানে কখনও শোনা যায় পেট্রল পাম্প কর্মীর সঙ্গে গাড়ির মালিকের প্রেমের কথা, আবার কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপের সূত্রে বিদেশে ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পান কোনও নারী অথবা পুরুষ। এমনই এক ভিন্ন স্বাদের প্রেমের গল্প সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, বাড়ির পাখা বিগড়ে গেলে তা সারাতে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির খোঁজ করা হয়। এভাবেই সেই পাখা মেরামত করতে ডাক পড়ে স্থানীয় যুবক কারিগরের। পাখা অবশ্যই মেরামত হয়ে যায়, কিন্তু সেই কারিগরের প্রেমে পড়ে যান পরিবারের এক মহিলা। এখানেই শেষ নয়। সেই ভালোবাসার সম্পর্ক অবশেষে গড়িয়েছে বিবাহবন্ধনে। আর তাই নিয়ে মেতে উঠেছে নেট দুনিয়া।
সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিয়ো ক্লিপে যুবককে বলতে শোনা গিয়েছে কীভাবে পাখা মেরামত করার জন্য তিনি প্রথমে যুবতীর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। পাখা সারানোর সময়ই যুবকের ফোন নম্বর চেয়ে নিয়েছিলেন পরিবারের মেয়েটি, যাতে পরে কখনও প্রয়োজন হলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। এরপরে নানান বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে সমস্যা তৈরি হলে তার সুরাহা করতে যুবককে ফোন করতে শুরু করেন ওই মহিলা। এভাবে প্রায়ই দু’জনের মধ্যে ফোনালাপের সুবাদে গড়ে ওঠে নিবিড় সম্পর্ক।
ভিডিয়োতে বিয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে যুবক জানিয়েছেন, ‘পাখা খারাপ হলে গ্রামের অনেকেই তা মেরামত করার জন্য ডাকেন। সেইভাবে ইনিও আমাকে ফোন করে ডেকেছিলেন। পাখা সারিয়ে দেওয়ার পরে আবার দরকার পড়তে পারে জানিয়ে ইনি আমার ফোন নম্বর চেয়ে নেন।’
স্বামীর কথার মাঝেই নিজের অভিজ্ঞতা শোনাতে শুরু করেন নবপরিণীতা। তিনি বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই ওঁকে খুব পছন্দ করতাম। ওঁকে ছাড়া কিছুই ভালো লাগত না, কারণ আমি ওঁর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।’
এরপরে যুবতী জানান কীভাবে নানান অছিলায় কখনও পাখা, কখনও ঘরের আলো বা কখনও ডিশ টিভি খারাপ হয়েছে বলে যুবককে তিনি বাড়িতে ডেকে পাঠাতেন। এইভাবে ঘনঘন যাতায়াতের ফলে দু’জনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক মজবুত হয়ে ওঠে, যার পরিণতি হয় বিবাহবাসরে।
এক্স প্ল্যাটফর্মে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন@FrontalForce নামে এক ইউজার। এখনও পর্যন্ত এই ভিডিয়ো ৫২ হাজারের বেশি ভিউজ পেয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরে প্রেমের এই উপাখ্যান শুনে ইউজারদের অনেকেই মুগ্ধ হয়েছেন।
তাঁদের মধ্যে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যদি প্রেম-ভালোবাসায় বিশ্বাস রাখেন, তাহলে কখনও বিহারে আসুন।’ আর এক ইউজার লিখেছেন, ‘বিহার এখন ২০৫০ সালে পৌঁছে গিয়েছে।’