ছোটখাটো বিষয়েই সন্তান যায় রেগে? তাকে শান্ত করুন এই টেকনিকে

আপনার বাচ্চার কি রাগ বেশি? অল্পতেই সে রেগে যায়? তাহলে তাকে শান্ত করার টেকনিক জানা জরুরি। আর সেই বিষয়টা নিয়েই আলোচনা হল নিবন্ধটিতে।

বাচ্চার রাগ সামলাবেন কী ভাবে? (ছবি: আইস্টক)
বাচ্চার রাগ সামলাবেন কী ভাবে? (ছবি: আইস্টক)
বাচ্চাদের মধ্যে অনেকেই ছোটখাটো বিষয়ে ভীষণ রেগে যায়। তারপর তারা চিল চিৎকার শুরু করে দেয়। কেঁদেকেটে সারা বাড়ি মাথায় তোলে। আর সন্তানের এহেন রাগকে সামাল দিতে গিয়ে বাবা-মায়েদের পাগল পাগল অবস্থা হয়। তাঁরা বুঝতেই পারেন না যে কী ভাবে সন্তানকে শান্ত করবেন।

তবে আমরা থাকতে এ সব বিষয় নিয়ে বেশি চাপ নেব��ন না। বরং চেষ্টা করুন শান্ত মাথায় এই সমস্যার সমাধান করার। আর এই সমস্যা সমাধানের টিপস রইল নিবন্ধটিতে। তাই ঝটপট প্রতিবেদনটি পড়ে ফেলুন।

নিজে শান্ত থাকুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক বাবা-মা বাচ্চাকে ওরম অবস্থায় দেখে নিজে মাথা গরম করে ফেলেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই বিপদ বাড়ে। সন্তান আরও রেগে যায়। তাই চেষ্টা করুন এই সময় শান্ত থাকার। তাহলেই দেখবেন বাচ্চাও ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যাবে। কমবে তার রাগ। (ছবি: আইস্টক)

Angry Kid

তাঁর অনুভূতিকে শিকার করুন
কিছু বাবা-মা সন্তানের রাগকে তেমন একটা আমল দেন না। আর এটা হল অন্যতম ভুল। দেখা গিয়েছে, বাচ্চার রাগকে মাথায় না রাখলে আদতে সমস্যা হতে পারে। তাদের মধ্যে রাগ বাড়তে থাকে। তারা কিছুতেই চুপ করতে চায় না। তাই এ বার থেকে সে রাগ করলে তার অনুভূতিকে শিকার করুন। তাকে বলুন, ‘আমি বুঝতে পারছি তোমার রাগ হয়েছে।…’ তারপর তার সমাধান করুন।

ডিপ ব্রিদিং শেখান
সন্তানকে অবশ্যই ডিপ ব্রিদিং টেকনিক শেখাতে হবে। তাকে রাগের সময় জোরে জোরে শ্বাস নিতে বলুন। তাহলেই দেখবেন তার মাথা শান্ত হবে। সে ধীরে ধীরে রাগকে কন্ট্রোল করতে শিখে যাবে।

ভালো ভাবো কথা বলুন
বাচ্চা রাগ করলে তার সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলবেন না। এই কাজটা করলে আদতে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই চেষ্টা করুন খুব সহজ করে কথা বলার। তার ব্যাপারে যে আপনি ভাবেন, সেটা তাকে বোঝাতে হবে। এই কাজটা করলেই দেখবেন সন্তানের রাগ কমবে।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
অনেক সময় বাচ্চার রাগের পিছনে কঠিন কোনও মানসিক কারণ থাকতে পারে। আপনি হয়তো সেটা বুঝতে পারছেন না। তাই এমন পরিস্থিতিতে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তিনি নিশ্চয়ই সমস্যা চিহ্নিত করে কিছু একটা সমাধান দেবেন। তারপর সেই নিয়মটা মেনে চলুন। তাহলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদন লেখা হয়েছে সচেতনতার উদ্দেশ্যে। নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেই কোনও সিদ্ধান্ত নিন।
সায়ন নস্কর

সায়ন নস্করসায়ন নস্কর গত ৮ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। কলকাতার একটি প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্রে তাঁর হাতেখড়ি। সেই সময় থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন লিখে আসছেন। তবে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিবেদন লিখতেই তিনি বেশি ভালোবাসেন। মডার্ন মেডিসিন, আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানদের সঙ্গে কথা বলে তিনি নিয়মিত প্রতিবেদন লেখেন। সহজ সরল ভাষাই তাঁর লেখার ইউএসপি। কঠিন বিষয়ও তিনি সহজ ভাবে লিখে ফেলতে পারেন। স্বাস্থ্য ছাড়াও তিনি প্যারেন্টিং, প্রেগন্যান্সি এবং রিলেশনশিপ নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে লিখছেন। এছাড়াও সময় পেলে ভ্রমণ এবং বিনোদনের নানা বিষয় নিয়েও লেখার চেষ্টা করেন। এ দিকে কাজের বাইরেও সায়নের একটা নিজস্ব জগত রয়েছে। তিনি পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন। পাশাপাশি পড়তে ও লিখতে ভীষণ পছন্দ করেন। এমনকী আউটডোর গেমস খেলা ও দেখাও তাঁর শখ। ফাঁকা সময়ে ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ দেখে সময় কাটান। বিভিন্ন বিষয়ে আকর্ষণই তাঁর লেখনির মূল অস্ত্র।... আরও পড়ুন

ক্যাটেগরি থেকে আরও